
ঘটনার বিবরণঃ গত ০৬-০৫-২০২৫ খ্রিষ্টাব্দে রাত আনুমানিক ০১.৩০ ঘটিকার সময় মোঃ রবিউল আলম (৩০), পিতা-মোঃ তোতা মিয়া, মাতা-মোসা: খুরশিদা বেগম, সাং-ভদ্রাসন, থানা-শিবচর, জেলা-মাদারীপুর তার জনৈক প্রতিবেশী অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি তার নিজের গাড়িতে উক্ত অসুস্থ প্রতিবেশীর চিকিৎসার জন্য মোট ০৪ (চার) জন ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করেন। রাত আনুমানিক ০২.০০ ঘটিকায় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের শ্রীনগর থানাধীন ছনবাড়ি মোড়ে এসে এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ির চাঁপ থাকায় ঢাকামুখী বাম পার্শ্বের সার্ভিস লেন দিয়ে নেমে চলতে থাকেন। এসময় শ্রীনগর থানাধীন ষোলঘর এর নিকটবর্তী এলাকায় তিনি রাস্তার উপর বেশ কিছু ছনের আটি দিয়ে তৈরি করা একটি ব্যারিকেড দেখতে পান। তিনি গাড়ি থামাতেই রাস্তার নিচ থেকে দেশীয় মারাত্মক ধারালো অস্ত্র-শস্ত্রে (ছেন-দা) সজ্জিত ০৬ (ছয়) জন ডাকাত অস্ত্র উঁচিয়ে গাড়িতে আক্রমণ করতে প্রবল বেগে ছুটে আসে। তাদের একজন গাড়ির ডান পার্শ্বে আঘাত করতেই গাড়ির দক্ষ চালক অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তার সহিত গাড়িটিকে দ্রুত পিছনের দিকে চালনা করে। এতে ডাকাত দল গাড়িটিকে ধরার জন্য তাদের অস্ত্রসহ ধাওয়া করে। কিন্তু গাড়িটিকে ধরতে ব্যর্থ হয়ে একজন ডাকাত ক্ষোভে তার ধারালো অস্ত্রটি গাড়ির দিকে ছুঁড়ে মারে। তবে গাড়িটি নিরাপদে ডাকাতদের নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যায়। অস্ত্রের আঘাতে গাড়ির ডানপার্শ্বের লুকিংগ্লাস এবং বনেট কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গাড়িটির সামনে ক্যামেরা সংযুক্ত থাকায় এই পুরো কার্যক্রমটি ক্যামেরায় রেকর্ড হয়। এই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম’সহ প্রধান ধারার গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়।
মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশ ঘটনাটি অবগত হয়ে তাৎক্ষণিকভাবে জেলা পুলিশের সিনিয়র অফিসারদের তত্ত্বাবধানে এসআই/আবুল কালাম আজদ, জেলা গোয়েন্দা শাখা, মুন্সীগঞ্জ এর নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের একটি চৌকস টিম ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা পূর্বক আসামীদের গ্রেফতার অভিযান পরিচালনা করে। পরবর্তীতে গত ০৬/০৫/২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ দুপুর থেকে অদ্য ০৭/০৫/২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ দুপুর ১৪.০০ ঘটিকা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে অভিযান পরিচালনা করে ঢাকা জেলার বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে ঘটনায় জড়িত ডাকাতদের ০৫ (পাঁচ) জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্রশস্ত্র এবং ঘটনার সময় তাদের পরিহিত পোষাক উদ্ধার করা হয়। গেফতারকৃত আসামীগণ সকলেই ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে।
উল্লেখ্য যে, উল্লেখিত ডাকাতদলের নেতা মোঃ কামাল ওরফে সিএনজি কামাল (৪০) তার দলের অন্যন্য সদস্যদের নিয়ে গত সেপ্টেম্বর মাসে একইভাবে বর্ণিত ঘটনাস্থলের নিকটবর্তী স্থানে এক্সপ্রেসওেয়েতেই একটি ডাকাতি সংঘটিত করেছিল। সে সময় তারা ভিকটিমের মূল্যবান স্বর্ণালংকার ও টাকা পয়সাসহ একটি লাইসেন্সকৃত অস্ত্র ডাকাতি করে নিয়ে যায়।
গৃহীত ব্যবস্থাঃ লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধারপূর্বক অভিযুক্ত ডাকাতদের গ্রেফতার ও শ্রীনগর থানার মামলা নং নাম্বার-২৩, তারিখ-২৭/০৯/২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ, ধারা-৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোড রুজু করা হয়েছে। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট পলাতক ডাকাতদের শনাক্ত ও গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে।

Reporter Name 



