
পুসাব-এর ইফতার ও দোয়া মাহফিল: জুলাই আন্দোলনের শহীদ পরিবারকে সম্মাননা, শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার অঙ্গীকার
সম্প্রতি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস অ্যালায়েন্স অফ বাংলাদেশ (পুসাব)-এর উদ্যোগে “ইফতার ও দোয়া মাহফিল ২০২৫” অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কের নওয়াব কনভেনশনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার উচ্চপদস্থ ব্যক্তিরা এবং প্রায় ১৬০০ শিক্ষার্থী সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতি
অনুষ্ঠানটিতে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, দেশের শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বিশিষ্ট সাংবাদিক, ব্যবসায়ী সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মালিক সমিতির সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, ডিন ও ফ্যাকাল্টি সদস্যরা যোগ দেন।
পুসাবের সাংগঠনিক নেতৃত্ব থেকে উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ও জাতীয় রাজনৈতিক পরামর্শক পরিষদের (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক তানজিল মাহমুদ, স্থায়ী কমিটির সদস্য নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী ও তাসনিম জারা, এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব তাহসীন রিয়াজ, পুসাবের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল্লাহ আল মাহফুজ জাকারিয়া এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য সাকিব চৌধুরী।
আবেগঘন মুহূর্ত ও জুলাই আন্দোলনের স্মৃতি
এই ইফতার মাহফিলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল জুলাই আন্দোলনে সরাসরি যুক্ত থাকা শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ। এই আন্দোলনে নিহত ও আহত শিক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্যরাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, যা পুরো আয়োজনকে একটি আবেগঘন পরিবেশ দেয়।
- আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী অর্ণব বলেন, জুলাই আন্দোলনে পুসাবের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এই আন্দোলনে নিহতদের ক্ষতি অপূরণীয়। তিনি নিহতদের পরিবারকে যথাযথ মর্যাদা ও সহায়তা দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান।
- অন্যান্য শিক্ষার্থীরা মন্তব্য করেন, জুলাই আন্দোলন থেকে দেশের সকল রাজনৈতিক দলের শিক্ষা নেওয়া উচিত, যেন তারা আর কখনো স্বৈরাচারী হয়ে না ওঠে। তারা ঘোষণা করেন, দেশের যেকোনো সংকটে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আবার ঐক্যবদ্ধভাবে রাস্তায় নামতে প্রস্তুত থাকবে।
পুসাব-এর ভূমিকা ও ভবিষ্যৎ লক্ষ্য
পুসাবের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল্লাহ আল মাহফুজ জাকারিয়া সংগঠনের ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের অবদান অস্বীকার করার সুযোগ নেই। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে, ২০১৫ সালের ভ্যাট বিরোধী আন্দোলনই ছিল পুসাবের প্রথম সফল আন্দোলন। তিনি রাষ্ট্রের প্রতিটি ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের সুযোগ এবং তাদের মেধাকে যথাযথভাবে কাজে লাগানোর গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
ইফতারের সময় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে নিহত ও আহত শিক্ষার্থীদের আত্মার শান্তি কামনা, দেশের সামগ্রিক উন্নতি এবং শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রার্থনা করা হয়।

Reporter Name 

